তাঁর সুরেই জীবন্ত হয়ে উঠেছিল জিঙ্গেল! ঠিক কতগুলো জিঙ্গেলে গলা দিয়েছিলেন কেকে?

Published on:

তাঁর সুরেই জীবন্ত হয়ে উঠেছিল জিঙ্গেল! ঠিক কতগুলো জিঙ্গেলে গলা দিয়েছিলেন কেকে?

কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে তিন বছর আগে হঠাৎ করে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল চারিদিক। শত আলোর মধ্যেও নেমে এসেছিল অন্ধকার। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন গায়ক কৃষ্ণ কুমার কুন্নাথ।

জানা যায়, প্রায় ১১ টি ভাষায় ৩৫০০ টি জিঙ্গলসে কণ্ঠ দিয়েছিলেন কেকে। এছাড়াও বহু বিজ্ঞাপনেও তাঁর কণ্ঠস্বর ফেমাস হয়েছিল।কখনও সলমানের লিপে তরপ তরপ তো কখনও আবার ইমরানের জন্য গাওয়া জরা সি দিল দে জাগা, আজও সকলের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

   
 ⁠

কোলগেট, পেপসি, চুইংগাম কিংবা নেরোল্যাক সব বিজ্ঞাপনেই কেকের গলা ছিল ম্যাজিকের মত। তার সুরেলা কণ্ঠের জাদুতেই জিঙ্গেল গুলো আরো জীবন্ত হয়ে উঠেছিল। বিজ্ঞাপনের সুর গুলো তাই হয়ত মুখে মুখে ঘুরত দর্শকদের।

  
 ⁠

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রঙয়ের বিজ্ঞাপন দর্শকের নজর কেড়েছে। তবে নয়ের দশকের ছেলেমেয়েদের মনে নেরোল্যাক পেইন্টের সেই বিজ্ঞাপন বিশেষ প্রভাব ফেলেছিল। ‘দেশ কি ধড়কন’…ব্র্যান্ডের জন্য এই গানকে ব্যবহার করা হয়। তাই নয়ের দশকের ছেলেমেয়েদের কাছে হিরো হন্ডা বাইকের বিজ্ঞাপন আজও একস্ট্রা স্পেশাল।

প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ছিলেন কোলগেট জেলের বিজ্ঞাপনের মুখ। কিন্তু তা হলেও কেকের সুরেলা কণ্ঠের ছোঁয়ায় এই বিজ্ঞাপন একেবারে সুপারহিট হয়েছিল। একটি চুইংগামের বিজ্ঞাপনে কিশোর কুমারের সেই বিখ্যাত গান এক আজনবি নতুনভাবে দর্শকের সামনে পরিবেশন করা হয়েছিল। তার কন্ঠ দিয়েছিলেন কেকে। আর কেকে ম্যাজিকেই একেবারে মাত হয়ে গিয়েছিল দর্শকরা।

এছাড়াও শাহরুখ খান আর রানি মুখোপাধ্যায়ের পেপসির বিজ্ঞাপনে কেকে -এর সুরেলা কণ্ঠের জাদু ছিল মুগ্ধ করার মত। বিজ্ঞাপনে সুরের জাদুকর কেকে- এর কণ্ঠে এখনও মুগ্ধ গোটা দেশ।